প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বন্দর কতৃপক্ষ। বন্দরের জেটি থেকে বহিরনোঙরে পাঠানো হয়েছে সবগুলো জাহাজ (১৮টি)। বহিরনোঙর থেকে ৫১ টি জাহাজ পাঠানো হয়েছে গভীর সমুদ্র বন্দরে। বন্দর এলাকায় জারি করা হয়েছে এলার্ট-৩। এছাড়াও সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য বন্দর সংশ্লিষ্ট এলাকায় চালু করা হয়েছে তিনটি কন্ট্রোল রুম।
কন্ট্রোল রুম – নৌ বিভাগ -031726916 পরিবহন বিভাগ-0313517711 সচিব বিভাগ- 01751713337
বন্দর সুত্র জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় জেটি থেকে জাহাজ সরানোর পাশাপাশি ১৪ টি গ্যান্ট্রি ক্রেন বুম আপ করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে সংকেত পাওয়ার পর থেকে বহির্নোঙরের বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সদরঘাট থানাধীন বাংলাবাজারের দিকে থাকা লাইটার-কোস্টার ভ্যাসেলগুলো শাহ আমানত সেতুর দিকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ ঔদিকটায় নদীর উজান।
এদিকে আবহাওয়া অফিস পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান চট্টগ্রাম থেকে ৮৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম এ অবস্থান করছে। এটি ১৯ মে রাত থেকে ২০ মে বিকাল অথবা সন্ধার দিকে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারক বলেন, আম্ফান মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সবব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেটি থেকে সবগুলো জাহাজ বহিরনোঙরে পাঠানো হয়েছে। গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো বুম আপ করা হয়েছে। এলার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বন্দর রক্ষায় এর বাইরে আরও যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন হবে তার সবটায় নেয়া হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবলায় প্রস্থুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসনও। প্রশাসন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৬ হাজার ৬৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৮ হাজার জন রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক এবং ৩৬০ জন স্কাউট স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। ২৮৪টি মেডিকেল টিম ও ঔষধপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ওয়ারী পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী (শুকনা খাবার) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, ক্ষতির সম্ভাব্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। যাতে প্রস্তুতকৃত আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যায় ক্ষতির সম্ভাবনায় থাকা মানুষ।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১ হাজার ৭৭০ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
এছাড়া ৩০ হাজার মেট্রিক টন জিআর চাল, ৫ লাখ টাকা জিআর ক্যাশ, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ৩ লাখ টাকা ও গো খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।