রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাউখালীর নাইল্যাছড়ি গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছোট ছেলে নজরুল ইসলাম তাজল। বয়স আর কত হবে ২৫-২৬। স্বপ্ন ছিল বিদেশে পাড়ি জমাবে। প্রবাসি বড় ভাইয়ের পরামর্শ ছিল বিদেশে যাওয়ার টাকা দিয়ে দেশে কিছু একটা কর।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া ডেইরি ফার্ম নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন এ তরুন। পুঁজি বিনিয়োগ করেন প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা। প্রতিষ্ঠানের উন্নতি দেখে কৃষি ব্যাংক কাউখালী শাখা হতে ঋন নেন ১৬ লক্ষ টাকা। ফার্মে জমা হয় প্রায় ৩২টি গরু। চোখের সামনেই বেড়ে উঠতে থাকে গরুগুলি। লক্ষ ছিল ঈদুল আযহায় গরু বিক্রি করে ব্যাংকের ঋন পরিশোধ করা ।
কিন্তু না, তিনি পারেননি। সমাজের মানুষ নামের কীট পতঙ্গগুলা নজরুলকে ছিড়ে খতে বসেছে। ১৯ জুন ফার্মে থাকা গরুগুলোকে খাবার দিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যান নজরুল। নামাজ শেষ করে আসার আগেই কোন এক সময় মনুষ্যরুপী জানোয়ার গুলো গরুর খাবারের সাথে বিষ মিশেয়ে পালিয়ে যায়।
সন্ধ্যা ৭-৮ ভিতের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৮টি গরু মারা যায়। অবশিষ্ঠ গরুগুলিও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যন্ত্রনা ছটপট করছে।
এ কেমন নির্মসমতা? সমাজের মানুষ নামের জানোয়ারগুলোর কাছে প্রশ্ন? কি দোষ করেছে এ নিরীহ প্রানীগুলো। মানব চেহারার খোলসে যারা মুখোস পড়ে এমন হত্যাযঞ্জ চালিয়েছ? এলাকাবাসী জানায় যারা নিরীহ পশুর উপর এরকম নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে পশুর মতো করে সাজা দেওয়া হোক।
প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অধিকতর তদন্ত পূর্বক দোষীদের খুজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।